শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটির বিনিময়ে সহজে ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক শ্বেতাঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যখন বাংলাদেশে পৌঁছতে পারে রাইসিকে শেষ বিদায় জানাতে ইরানে হাজারো মানুষের ঢল আ’লীগের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা ভোগের স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না : মির্জা ফখরুল কলকাতায় আজীম হত্যা : যা জানালেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের লাগাম টেনে ধরেছেন রিশাদ সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ গ্রেপ্তার হলেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ভাই রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ টাকা ফেরত দিয়ে খালাস পেলেন ইভ্যালির রাসেল-শামীমা
বোট ক্লাবকাণ্ড : পরীমনিকে যৌন নিপীড়ন-মারধরের প্রমাণ মিলেছে

বোট ক্লাবকাণ্ড : পরীমনিকে যৌন নিপীড়ন-মারধরের প্রমাণ মিলেছে

স্বদেশ ডেস্ক:

বোট ক্লাবের সদস্য ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে যৌন নিপীড়ন, মারধর ও হত্যার হুমকির প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া এ মামলার আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে এসব ঘটনায় সহায়তার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে গত সোমবার পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলার চার্জশিট তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন। শহিদুলকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এদিকে আগামী ১২ অক্টোবর চার্জশিটটি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল। মামলাটিতে যেসব ধারায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ১৪ জুন আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং আরও ৪ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ঘুরে আলোচিত এ মামলাটি অবশেষে রেকর্ড করা হয় সাভার মডেল থানায়। একই দিন উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় হওয়া আরও একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।

চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম বোট ক্লাবে পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, বিকৃত অঙ্গভঙ্গি ও শ্লীলতাহানি করেন। একপর্যায়ে তারা পরীমনিকে মারধর করে হত্যার হুমকিও দেন। এর আগে তাদের সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি কৌশলে পরীমনিকে বোট ক্লাবে নিয়ে যান।

এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের কী দ- হতে পারে সে বিষয়ে ফৌজদারি আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা আছে। সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থদ-ও হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারা অনুুযায়ী কাউকে ইচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় প্রকার শান্তির বিধান রয়েছে। আর দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় কাউকে অপরাধজনক ভীতি প্রদানের জন্য ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড প্রদান করা যাবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি ও বনিসহ পরীমনি দুটি গাড়িতে করে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি পরীমনিকে বলে, ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। তার কথা মতো পরীমনিসহ অন্যরা রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেন। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।

এজাহারে পরীমনি উল্লেখ করেন, আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করেন ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করেন। টয়লেট থেকে বের হতেই নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও অমিসহ নাসির মাহমুদ আমাদের মদপানের জন্য জোর করতে থাকেন। আমি মদপান করতে না চাইলেও নাসির মাহমুদ জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই। একপর্যায়ে নাসির মাহমুদ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়েও ছুড়ে মারেন। কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বাধা দিতে গেলে নাসির মাহমুদ তাকেও মারধর করেন। এ পর্যায়ে আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অমিসহ অজ্ঞাত চারজন নাসির মাহমুদকে সহযোগিতা করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877